-------------------------------------------
পৃথিবীতে ৮০০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ইহুদির সংখ্যা মাত্র ১.৫+ কোটি। এই ১.৫ কোটি ইহুদি আজ পুরো পৃথিবীর ৮০০ কোটি জনসংখ্যাকে এক জায়গায় বসে নিয়ন্ত্রণ করছেন। কিভাবে? তাহলে চলুন জানি ইহুদিদের আবিস্কার ও প্রোডাক্টগুলো কি কি?
প্রথমে গুগল দিয়ে শুরু করি। গুগল হলো আমাদের জন্য গোটা একটা মহাবিশ্ব সমান সফটওয়্যার। যেখানে সার্চ করলে আপনি সাড়ে ১৩শ কোটি বছরের মহাবিশ্বের বিগ ব্যাং থিওরি থেকে শুরু করে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি, নাসা, ইসরো সহ পৃথিবীর সমস্ত তথ্য গুগলে পাবেন। জিমেইল থেকে শুরু করে গুগল প্লে স্টোর, ফেইসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটার সব পাবেন। আর এই সবগুলি হলো গুগলের আওতাধীন একেকটি জোন। আর সেই গুগলের মালিক হলো ইহুদিরা। এখানেই শেষ নয় বস, সারা বিশ্বে মোবাইল, কমপিউটার, ল্যাপটপ আর প্যাডগুলো যে উইন্ডোজ সিস্টেম ও এন্ড্রয়েড সিস্টেমে চলে, এগুলির আবিষ্কারক ও মালিকানা ইহুদিদের। এই পৃথিবীর প্রায় ৬০০ কোটি মানুষ যে মোবাইল-স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে, সেই মোবাইলের প্রধান চালিকা শক্তি হলো প্রসেসর। যে প্রসেসরগুলি ইনটেল প্রতিষ্টানে তৈরি হয়, এই সুক্ষ্ম কাজের প্রসেসর গুলোও বানায় ইহুদিরা। এছাড়া ইহুদিদের মালিকাধীন এমন হাজারো প্রোডাক্ট আছে যেগুলির মধ্যে এমন কিছু প্রোডাক্ট আছে, যে প্রোডাক্ট বয়কট করলে সেই মানুষটি পৃথিবীতে পর্যন্ত অচল হয়ে যাবে। তাদের আরেকটি সফটওয়্যার প্রোডাক্ট শুধুমাত্র জিমেইলের কথাই যদি বলি, ওটাও ইহুদিদের। আপনি যদি গুগল দেখতে চান, ইউটিউব দেখতে চান, ফেইসবুক দেখতে চান, টুইটারে যেতে চান, টিকটক করতে চান, হোয়াইটস আপ-ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কল করতে চান, বিগো লাইফ করতে চান, তাহলে সেখানে আপনার স্মার্ট ফোন, কমপিউটার বা ল্যাপটপে ইন্টারনেট এক্সেস করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন পড়বে একটি জিমেইল আইডির। আর এই জিমেইল-এর মালিকানা হলো ইহুদি। আর আপনি যদি জিমেইল বয়কট করেন, তাহলে তো ইন্টারনেট জগতেই প্রবেশই করতে পারবেন না। আর জিমেইল হলো এমন একটা ব্যক্তিগত আইডি যে, আপনার ব্যক্তিগত বিষয়ে ঘরের বউ যতটুকু জানে না, তার চেয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এই জিইমেল আইডিটি জানে। কারণ জিমেইল খুলতে হলে, আপনাকে, মোবাইল নাম্বার, জম্ম তারিখ, ছবি দিয়ে আইডিটি খুলতে হয়। আর আপনি ইন্টারনেটে বসে কার সাথে আলাপ করছেন, কাকে গালি দিচ্ছেন, কাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বয়কট করছেন, কাকে মেইল করছেন, কাকে সার্চ করছেন, কাকে মেসেজ করছেন তার সব খরব রাখে আপনার এই জিমেইল আইডিটি। শুধু তাই নয়, ভার্চুয়াল জগতে আপনার একমাত্র ঠিকানা, এই জিমেইল আইডিটি। আপনার অফিশিয়াল পরিচয়ও এই জিমেইল আইডিটি। সেই হিসেবে পুরো পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষ মোবাইলে কি কি করছে, তার ব্যাক্তিগত সব তথ্য ইহুদিদের সফটওয়্যার জিমেইলই জানে, জিমেইলেই সংরক্ষিত থাকে। আপনার স্মার্ট ফোনে গুগল প্লে স্টোর না থাকলে তো একটা সফটওয়্যারও ডাউনলোড করতে পারবেন না। আর এই জিমেইল, গুগল প্লে স্টোরও কিন্ত ইহুদিদের।
পৃথিবীর যতোগুলো স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, কমপিউটার আছে তার সবগুলি চলে অ্যান্ড্রয়েড ও উইন্ডোজ সিস্টেমে। তো ভাই আপনি ইহুদিদের কোন পন্যটি, কোন আবিস্কারটি বয়কট করতে পারবেন বলেন? এটা তো মাত্র ইহুদিদের ইন্টারনেট ও সফটওয়্যারের দিকটা বললাম। হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন শক্তিশালী বস্তু, এই যেমন: সামরিক অস্ত্র, পারমাণবিক বোমা, মিসাইল, ড্রোন, আয়রন ড্রোন, গুলি, পিস্তল, রাইফেল ও খাদ্য পন্য সহ আরো অনেক উন্নত প্রযুক্তির কথা তো বাদই দিলাম। আমি ইহুদিদের আবিস্কার শুধুমাত্র সফটওয়্যারের দিকটা দেখে পুরোপুরি অবাক হয়ে গেলাম! কি জাতিরে এরা! আবিস্কার ও উদ্ভাবনের কি ভয়ংকর নেশা এঁদের! যেগুলি চিন্তা তো দুরের কথা, কল্পনায় করা যায় না।
আর হ্যাঁ আমি এখানে ইহুদিদের যে সফটওয়্যার দিক বর্ণনা করলাম, সেটা তো ১০০ ভাগের মধ্যে ১০ ভাগ মাত্র। আর ৯০ ভাগ তো আমি জানিই না। ইহুদিরা চাইলে এক মুহূর্তে পৃথিবীর যেকোনো দেশের ইন্টারনেটের প্রসেসিং ব্যবস্থা বন্ধ করে দিতে পারেন। আর ইন্টারনেট বন্ধ হলে সেই দেশে সার্ভেয়ার অচল হয়ে ব্যাংকিং খাত বন্ধ হয়ে যাবে। লেনদেনও থমকে যাবে। ইহুদিরা চাইলে পুরো বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থা পুরোপুরি থমকে দিতে পারেন। তাদের জন্য এটা কোনো ব্যাপারই না। সেটা কি জন্য বলছি জানেন? কিছুদিন আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছিলেন যে, আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনে পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে রাজি আছি। কথাটা ভাই এমনি বলে নাই, সত্যিকার অর্থে তাদের দম আছে বলেই বলেছে। আর পৃথিবীতে শুধু অস্ত্র আর বোমা হামলা করে নয়, সাইবার ক্রাইম করেও একটা দেশকে পুরোপুরি অচল করে দেয়া যায়। আপনি বেশি না, একটা দেশের ইন্টারনেট বন্ধ হলে ব্যংকিং খাত, প্রশাসন খাত, আর্থিক লেনদেন সব বন্ধ হয়ে যাবে। দেশটি মুহূর্তেই আদিম যুগের ব্যবস্থায় চলে যাবে। এখন বিশ্বকে শাসন করতে অস্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না, সফটওয়্যার দিয়েও বিশ্ব শাসন করা যায়।
কারো কারো মতে বিশ্বে সুপার পাওয়ার রাষ্ট্র হলো আমেরিকা বা রাশিয়া। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে পুরো বিশ্বের অঘোষিত সুপার পাওয়ার রাষ্ট্র হলো ইসরায়েল। আর ইহুদিরা রাশিয়া, আমেরিকা, ইউরোপ সহ এসব দেশগুলোতে যতগুলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান আছে, সেইসব প্রতিষ্ঠানে গবেষনা মুলক কাজের প্রথমভাগে আছে ইহুদিরাই। এই পর্যন্ত পৃথিবীতে বিজ্ঞানের শাখায় যতগুলি প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়েছে, তার মধ্যে খুব কমই আছে, যেখানে ইহুদিদের প্রথম হাতের ছোঁয়া লাগেনি। আপনি আমেরিকায় গিয়ে দেখেন, দ্যা নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা, আইফোন, এ্যাপল, গুগল সহ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে মালিক হয়ে বসে আছে ইহুদিরা। তাই ইসরাইলকে নিয়ে চীন-আমেরিকা-রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রগুলো তেমন ঘাটায় না, উলটো তাদেরকে মাথা নসিহত করে চলতে হয়। ইহুদিদের রাজনৈতিক প্রভাব যেমন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র আমেরিকার রাজনীতিতেও আছে, আবার এদিকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র রাশিয়াতেও আছে। তাই বলছি কি, আমেরিকা রাশিয়া ছাড়া ইহুদিরা অনায়সে চলতে পারবে, কিন্তু ইহুদির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া রাশিয়া, আমেরিকা, এমন কি পুরো পৃথিবীও পুরোপুরি চলতে অক্ষম। আর ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী ইহুদিরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই কাজ করুক না কেন, এমন কি মহাকাশেই থাকুন না কেন, তারা অটোমেটিকলি ইসরায়েলের নাগরিক হয়ে যায়।
ইহুদিরা এমন একটা জাতি, পৃথিবীর এমন কোনো শাখা নেই যে তারা উন্নতি করেনি। আপনি বিজ্ঞান বলেন, পদার্থ বিজ্ঞান বলেন, রসায়ন বিজ্ঞান বলেন, প্রকৌশল বিজ্ঞান বলেন, কৃষি বিজ্ঞান বলেন, সমাজ বিজ্ঞান বলেন, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বলেন, সব কিছুতে তারা পুরো বিশ্বকে প্রযুক্তির ব্যবহার কি তা করে দেখিয়েছেন। তো ভাই আপনি ইহুদিদের ঠিক কোন দিক দিয়ে বয়কট করবেন?
আমাদের পৃথিবী যে গত শতাব্দীর শিল্প বিপ্লব পেরিয়ে প্রযুক্তি-বিপ্লবের জগতে প্রবেশ করেছে, আর সেই প্রযুক্তির জগতকে এখনো ৯০% নিয়ন্ত্রন করে চলেছেন ইহুদিরা। ইহুদিদের আবিস্কার নিয়ে বলতে গেলে মোটা মোটা গবেষণা মুলক বই রচনা হয়ে যাবে, তবুও বিজ্ঞানে ইহুদিদের আবিস্কার ও উদ্ভাবনের কথা লিখে শেষ করে আমি ইতি টানতে পারবো না। যেখানে ভাই আপনারা একটা কলম বানাতে পারেননি, সেখানে আপনি আসছেন ইহুদি পণ্য বয়কট করতে! ইহুদি পন্য বয়কট করার কথা বলা এটা শুধু হাস্যকরই নয়, এটা আপনার সীমাহীন মুর্খতা!