র.আমিন-এর সাহিত্য

 র.আমিন-এর সাহিত্য

অস্থির পাখিরা 

মোস্তফা স্যারের ক্লাস ।  

ক্লাস শুরুর আগে রাসেল, ফয়সাল, সেলিম, পাপড়ি ও মিমি দ্রুত গতিতে ক্লাসে প্রবেশ করলো ।  মোস্তফা স্যার ধীর গতিতে ক্লাসে প্রবেশ করার সাথে সাথে সবাই উঠে দাড়িয়ে সালাম দিল ।  মোস্তফা স্যার সালামের জবাব দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,

- তোমরা সবাই ভালো আছো ? 

- জি স্যার ।

সবাই একসাথে বলে উঠল ।

- আজ তোমাদের জঁ-জাক রুসোর ‘দ্য সোশ্যাল কন্টাক্ট’-এর ওভারভিউ অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার কথা ছিল, 

মনে আছে ?

অধিকাংশ উত্তর দিল,

- জি স্যার ।

কেউ কেউ একে অপরের দিকে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করল । অনেকে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে স্যারের কাছে জমা দেওয়া শুরু করলো । অনেকের অ্যাসাইনমেন্ট রেডি ছিল না, ফয়সালেরও না।  তাই ফয়সাল রাসেল আর সেলিম কাছে গিয়ে কাগজ চাইলো, পাপড়ি ফয়সালের দিকে কাগজ এগিয়ে ধরলো ও ফয়সাল পাপড়িকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাগজটি নিল আর দ্রুতগতিতে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শুরু করলো, অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শেষ করে স্যারের কাছে জমা দিল। আধা ঘণ্টা পর ক্লাস শেষ হলো, সবাই ক্লাস থেকে বের হয়ে আসলো। 

ক্লাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে দেখা গেল, একটা মিছিল কলা ভবনের দিকে যাচ্ছে, মিছিলে শ্লোগান উঠেছে,

- স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্ত পাক ।    

ফয়সাল মিছিলে যোগ দিলো, মিছিল টিএসসি-তে গিয়ে শেষ হলো। মিছিল শেষে অংশগ্রহণকারী সবাই বসে পড়লো, অনেক ছাত্রনেতা ও নেত্রীরা বক্তৃতা দিলো, আর মধ্যে দেখা গেল পাপড়িকে ।  ফয়সাল পাপড়িকে দেখে চিৎকার করতে গিয়ে নিজেকে সংযত করলো। বক্তৃতা শেষে  ফয়সাল পাপড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো,

- আরে পাপড়ি, তুমি দেখি আমাদের লিডার !

- আরে ফয়সাল যে, আমিতো অনেক দিন ধরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত । তা তুমি কি আমাদের মিছিলে যোগ দিয়েছিলে ?  

- হ্যাঁ, দিয়েছিলাম লিডার, আমিও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হতে চাই ।

- তা আসো না, আজকে বিকেলে আমাদের পাঠচক্রে, রাজনৈতিক অনেক বিষয় নিয়ে কথা হবে ।

- ঠিক আছে লিডার আসবো ।

কথা শেষ করে উভয়ে একে অপরের কাছে বিদায় নিল ।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------

পাপড়ির কথা মতো ফয়সাল পাঠচক্রে অংশগ্রহন করলো, রাজনৈতিক অনেক আলোচনা হলো । পাঠচক্র শেষে পাপড়ি ফয়সালের কাছে জানতে চাইলো,

- কি আলোচনা কেমন লাগলো ?  

- হ্যাঁ পাপড়ি, অনেক উপকৃত হলাম, সমকালীন অনেক রাজনৈতিক বিষয় জানতে পারলাম ।

- তা ফয়সাল, ক্লাসের খবর কি ?  পরের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে কি কিছু ভাবছো ?

- হ্যাঁ, অর্ধেক তো লিখে ফেলেছি . . . . . . .

- তাই নাকি ? 

ফয়সালের কথা শেষ না হতেই পাপড়ি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো ।

- হ্যাঁ, আমিতো গতকাল ক্লাস শেষ করে রাতেই লিখে ফেলেছি অর্ধেক ।

- ফয়সাল তুমিতো দেখছি ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট । আচ্ছা লেখা শেষ হলে, আমাকে একটা কপি দিয়ো ।

- ঠিক আছে, পাপড়ি ।  

বাধাহীন ভাবে কেন যেন ফয়সাল সম্মতি দিলো ।

- আচ্ছা, ফয়সাল তোমার বাসা কোথায় ?

- মোহাম্মাদপুর ।

ফয়সাল জবাব দিলো ।

- তাহলে, চলো একসাথে যাওয়া যাক। আমার বাসা জিগাতলা, একসাথে রিক্সায় যাওয়া যাবে ।

- ঠিক আছে, পাপড়ি ।  

বাধাহীন ভাবে কেন যেন ফয়সাল আবার সম্মতি দিলো ।

কথা শেষ করে ওরা দু’জন পাঠচক্র থেকে বেরিয়ে এলো । বেরিয়ে এসে দু’জন প্রেসক্লাব থেকে রিক্সায় উঠলো। পাশাপাশি বসে দু’জন এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি অনুভব করলো ।  কেউ কোন কথা বলতে পারছে না, পাপড়ি নীরবতা ভঙ্গ করে প্রশ্ন করলো,

- আচ্ছা, ফয়সাল বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তোমার মতামত ?

- পাপড়ি,  বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন দরকার । 

কিছুক্ষণ নীরবতা । এবারে ফয়সাল নীরবতা ভঙ্গ করলো,

- আচ্ছা, পাপড়ি বর্তমানে বাংলাদেশে দুই ধরনের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বিদ্যমান-মার্কিন আর ভারতীয়। কোন আগ্রাসনটি স্থায়ী হবে বলে তুমি মনে করো ? 

- দেখো, ফয়সাল আমি মনে করি, কোন আগ্রাসনই আমাদের দেশে স্থায়ী হবে না, কারন বাঙালির ইতিহাস বিদ্রোহের, বিজয়ের।

তারপর আর কোন কথা হয় না দু’জনার, কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা পৌঁছে যায় জিগাতলা মোড়ে। ফয়সাল নেমে যায় রিক্সা থেকে, পাপড়িকে ধন্যবাদ ও  বিদায় জানিয়ে মোহাম্মদপুরের দিকে এগুতে থাকে।  

বাসায় এসে ফয়সালের শুধু পাপড়ির কথা মনে হতে থাকলো। ফয়সাল ভাবল, ও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার ব্যাপারে কেন এত দ্রুত রাজি হয়ে গেল ? ও কেন জিগাতলা আসার ব্যাপারে এত দ্রুত রাজি হয়ে গেল ?  ও কি তাহলে পাপড়ির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে ? 

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

ফয়সাল ক্লাস শেষে পাপড়ির জন্য অস্থির হয়ে গেল, চলে গেল পার্টি অর্থাৎ ছাত্র সংগঠনের অফিসে ।  গিয়ে খুঁজে বের করলো পাপড়িকে আর বলল, 

- আমি  তোমাদের সংগঠনে জয়েন করতে চাই । 

অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফয়সাল কেন যেন পাপড়িকে কথাটি বলল ।

- মোস্ট ওয়েলকাম !

পাপড়ি চিৎকার করে উঠলো ।

পাপড়ি সংগঠনের সদস্য পদ পুরনের জন্য ফয়সালের সদস্য ফর্ম পূরণ করলো । পাপড়ি সংগঠনের সভাপতির সাথে ফয়সালের পরিচয় করে দিলো আর অন্য সদস্যরা ফয়সালকে স্বাগতম জানালো ।  এরপর ফয়সাল পাপড়ির কাছে বিদায় নিতে গেলে পাপড়ি বলল,

- ঠিক আছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে যুক্ত হবার জন্য । কাল কিন্তু ক্লাসে আসো অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ।

- ঠিক আছে নিয়ে আসবো ।  

ফয়সাল পার্টি অফিস ত্যাগ করলো ।  

পরদিন ফয়সাল ক্লাসে অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে গেল, ক্লাস শেষে পাপড়ির হাতে দিলো । পাপড়ি অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে ফয়সালকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব দিলো,

- ফয়সাল, আমার কিছু ভালো লাগছে না, চলো না পাবলিক লাইব্রেরীতে যাই ।

পাপড়ির এই প্রস্তাবে ফয়সাল রাজি হয়ে গেল ।  

ওরা দু’জন পাবলিক লাইব্রেরীর উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলো, কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা পৌঁছে গেল ।  পাবলিক লাইব্রেরী উঠার উঁচু সিঁড়িতে যেয়ে পাপড়ি বসে পড়লো আর ফয়সালকে আহ্বান জানালো পাশে বসার । ফয়সাল পাপড়ির পাশে গিয়ে বসলো । 

পাপড়ি বলল,

- জানো, ফয়সাল আমার কোন কিছু ভালো লাগছিল না । এখন তুমি আমার পাশে বসে আছো, আমার ভালো লাগছে, জানিনা কেন এমন আমার হচ্ছে . . . . . . . 

- আমারও এমন লাগছে । 

পাপড়ির কথা শেষ না হতেই ফয়সাল বলল । 

পাপড়ি ওর ডান হাতের আঙ্গুল ফয়সালের হাতের আঙ্গুলের উপর রেখে বলল,

- আসো গল্প করি ।

আঙ্গুলের স্পর্শে উভয়ের দেহে এক শিহরণ অনুভুত হলো ।  কিছুক্ষণ নীরবতা, নীরবতা ভঙ্গ করে ফয়সাল বলল,

- জানো পাপড়ি, আমার না কাল সারারাত কেন যেন ঘুম হয়নি ।

- তাই নাকি, কেন ?

- জানি না, তবে মনে হয় এক প্রিয়জন হারানোর ভয়ে . . . . . . . 

- প্রিয়জন ? সে আবার কে ?

ফয়সালের কথা শেষে না হতেই পাপড়ি প্রশ্ন করলো । 

- জানি না  ।

ফয়সাল উত্তর দিলো ।

কিছুক্ষণ নীরবতা, নীরবতা ভঙ্গ করে পাপড়ি বলল,

- এসো, সূর্য অস্ত দেখি ।

পাপড়ি আঙ্গুল দিয়ে ফয়সালকে সূর্যাস্ত দেখালো্ল- দু’জনেই সেদিকে তাকিয়ে থাকলো- 

সূর্য অস্ত যাচ্ছে- সূর্য রক্তিম আভা ছড়িয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে। কী অপরূপ এক দৃশ্য বিশাল আকাশের নীল জুড়ে, কিছুক্ষণ ওরা দু’জন আনমনা তাকিয়ে রইল সেদিকে আর পাপড়ি আনমনা ভাবে বলল,

- আমরা দু’জন যদি আকাশের নীলের মাঝে হারিয়ে যেতে পারতাম । 

- সুফিয়া কামালের ‘সাঁঝের মায়া’ কবিতার কথা মনে পড়ে গেল ।

আনমনা ভাবে ফয়সাল বলল । 

কিছুক্ষণ পর যখন আস্তে আস্তে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসতে শুরু করলো, তখন ওরা উঠে দাঁড়ালো ।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------

১৪ ডিসেম্বর, বুদ্ধিজীবী দিবস  ।

পাপড়ি ফয়সালকে কল করলো,

- ফয়সাল কই তুমি, আমরা সবাই তোমার অপেক্ষা করছি ।

- এইতো আসছি ।

ফয়সালের কণ্ঠ শোনা গেল । 

- ক্যামেরা আনতে ভুলোনা যেন ।

- ঠিক আছে ।

কিছুক্ষণের মধ্যে ফয়সাল এসে হাজির ।  পাপড়ি ফয়সালকে ধন্যবাদ জানিয়ে ক্যামেরা নিল আর ওদের শোভাযাত্রায় আহ্বান করলো । ফয়সাল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করলো, শোভাযাত্রা অগ্রসর হলো । পাপড়ি শোভাযাত্রার সম্মুখভাগে শ্লোগান দিচ্ছে,

- একাত্তরের ঘাতকেরা হুঁশিয়ার, সাবধান ।

শোভাযাত্রা এগিয়ে চলছে, আসাদ গেটের মোড়ে আরো একদল জয়েন করলো । তখন অনেকে ফয়সালের ক্যামেরা দিয়ে শোভাযাত্রার ছবি তুলল । শোভাযাত্রাটি মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গিয়ে শেষ হলো । সেখানে পুস্পস্তবক শেষে শোভাযাত্রায় আগত নেতা- নেত্রীরা বক্তৃতা দিলেন, পাপড়িও বক্তৃতা দিলো, পাপড়ির বক্তব্য শুনে ফয়সাল পুলকিত অনুভব করলো ।  বক্তৃতা শেষে সবাই বিদায় নিয়ে যে যার মতো স্থান ত্যাগ করলো ।  

পাপড়ি ফয়সালের পাশে এসে দাড়িয়ে প্রস্তাব দিলো,

- চলো, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাই ।

ফয়সাল পাপড়ির প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেল । ওরা একটা সিএনজি নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলো ।  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছে ওরা একটা নিরিবিলি পছন্দ করে বসে পড়লো । 

পাপড়ি শুরু করলো,

- ফয়সাল, আজকের শোভাযাত্রা তোমার কেমন লাগলো ?

- এক বিপ্লবী চেতনা অনুভব করলাম । একাত্তরে  ঘাতক-দালালেরা এদেশের যে বুদ্ধিজীবী হত্যা করেছে,  তা ক্ষমার অযোগ্য. . . . . . . 

- তুমি দেখছি আমাদের আদর্শের সহাবস্থানে আছো, অভিনন্দন তোমাকে ।

ফয়সালের কথা শেষ না হতেই পাপড়ি যুক্ত করলো ।

- অভিনন্দন প্রিয়তম. . . . . . . 

ফয়সাল থেমে গেল ।

পাপড়ি হেসে বলল,

- বলো ফয়সাল, বলো ।

- না, শহীদ কাদরীর কবিতা এক লাইন মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছিল, ‘তোমাকে অভিবাদন হে প্রিয়. . . . 

-  সেদিন বললে, তোমার প্রিয়জন, সেই প্রিয়জনটা কে ? 

ফয়সালের কথা শেষ না হতেই পাপড়ি প্রশ্ন করলো ।

- আমার প্রিয়তম তুমি, তোমাকে ভালবাসি আমি ।

ফয়সাল হঠাৎ বলে ফেলল ।

পাপড়ি মৃদুহেসে বলল,

- আমিও তোমাকে ভালবাসি, আমাকে হারানোর কোন ভয় নেই তোমার ।   

পাপড়ি কথাটি বলে ফয়সালের বুকে ওর মাথা রাখলো । 

কিছুক্ষণ নীরবে কেটে গেল, দুজনেই যেন এক প্রশান্তি অনুভব করছে । আরও কিছুক্ষণ কেটে গেল, পড়ে ওরা দুজন উঠে দাঁড়ালো ।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস ।

পাপড়ি ও ফয়সাল পার্টি অফিস মারফত জানতে পারলো যে, মৌলবাদীরা বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করবে । পার্টির অন্যান্য সদস্যদের মতো পাপড়ি ও ফয়সালের মধ্যেও উত্তেজনা দেখা দিলো- কোন ভাবেই এই স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীদের কোন সমাবেশ করতে দেওয়া যাবে না, স্বৈরাচার আর মৌলবাদীরা মিলে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।

বিকেলে পার্টির সবাই প্রস্তুতি গ্রহণ করলো মৌলবাদীদের সমাবেশ প্রতিহত করার জন্য, সবাই মিলে মৌলবাদীদের মঞ্চে আঘাত করলো- পাপড়ি ও ফয়সালও সেই আঘাতে অংশগ্রহন করলো- লেগে গেল আরেক মুক্তিযুদ্ধ- অবশেষে পরাজিত হল মৌলবাদীরা । মৌলবাদীরা দৌড়ে পালালো – কোথা থেকে গুলি এসে এক মৌলবাদী কর্মীর বুকে আঘাত করলো, সাথে সাথে সে মৃত্যুর কলে ঢেলে পড়লো । মুহূর্তের মধ্যে পুলিশ এসে গণহারে গ্রেফতার করতে থাকলো পার্টির সদস্যদের, এই মধ্যে ফয়সালও ছিল ।

পরদিন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হলো- গ্রেফতারকৃত সকল সদস্য নিহত মৌলবাদী কর্মীর হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত ।

ফলে বিষয়টা দাঁড়ালো-ফয়সাল হত্যার অপরাধে অভিযুক্ত হলো ।

----------------------------------------------------------------------------------------------------------

পনের বছর পর। 

আজ ফয়সালের জেল থেকে মুক্তির দিন। বিকেল পাঁচটায় জেলের দ্বিতীয় দরজা খুলে গেল। বেরিয়ে এলো ফয়সাল। ফয়সাল সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেল, দেখল সামনে পাপড়ি। 

ফয়সাল পাপড়িকে প্রশ্ন করল, 

- কি পাপড়ি যে ?

- হ্যাঁ, পনের বছর পর আবার তোমার জীবনে ফিরে এলাম। এতটা বছর তোমার জন্য আমি অপেক্ষায় ছিলাম।

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জবাব দিল পাপড়ি। 

পাপড়ির চোখ বেয়ে কখন যে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়েছে, পাপড়ি তা টেরই পায়নি, শাড়ির আঁচল দিয়ে তা মুছলো পাপড়ি।


Jane Smith

Itaque quidem optio quia voluptatibus dolorem dolor. Modi eum sed possimus accusantium. Quas repellat voluptatem officia numquam sint aspernatur voluptas. Esse et accusantium ut unde voluptas.