১।
--হামাগুড়ি দেই --
মাঝেমধ্যে ভুল করা উচিত
করুন সুরে কান্না করা উচিত
ভেঙে পড়া উচিত
নাই নাই হতভম্ব হওয়া উচিত।
পিষ্ট হওয়া উচিত
জগতে একলা হবার ধ্যান করা উচিত
মানুষ শূন্য পথ খুজা উচিত
এড়িয়ে ত্যাগ করা উচিত।
অর্নগল বিতর্ক করা উচিত ।
কিন্ত না ।
কেউ সমালোচক হবে কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার
ভাইস চেনসলর, পদার্থবিদ, আবিস্কারক বিখ্যাত সব
সবার সবেতে থাক অধিকার।
আমরা বরং কথা কম বলি ,কথার ভার আছে
ওঠা যায়না যায় বরং ভাবি।
সত্য মিথ্যা মানুষের ভিতর জম্ন নেই যত্ন নেই
এতো কাড়াকাড়ির কি দরকার
থাক সব উচিত ,
আমরা বরং অনুচিত মায়ার ভিতর হামাগুড়ি দেই ।
২।
---অসময়ের সুখ---
মানুষের কাছাকাছি থাকা হৃদয় কি আহত হয়?
হয়, তুমি জাননা!
যে মানুষ বিশ্লেষণ করতেে পারেনা
করতে পারেনা সমালোচনা থিউরি কিংবা হিংস্বার
তার জন্য একাকীত্ব একটা লাইব্রেরী
তার জন্য একাকীত্ব অভিভাবক
তুমুল সমালোচক তার জন্য আর্শীবাদ
আমার কোন তুমুল সমালোচক নেই
আমার কোন তুমুল বিরোধী নেই
এমন আনাড়ী দ্বিতাল সমালোচক আর্শীবাদ হয়না।
বোধয় এখনো আমি বেশ হুজুগে
সত্য সুন্দরেরা সবসময় বলে
যে মানুষ হৃদয় খুঁজে,
তার মানুষের খুব কাছে বসতে নেই
সে আহত হয় নিহত হয় নিজস্ব সত্বায়।
আমি বসি গল্প করি একলা হবার ভয়ে হো হো করে হাসি
ভূলের ভাষায় মাথা নাড়ায় বলি, আপনি, তুমি, তুই ঠিক!
খুব কি মানুষ দরকার যা আদিম কাল হতে এই অবধি
আসে আর যাই
আমার এটাও খুব ভালো লাগে
কি সুন্দর দলে দলে কথা হয় আবার স্মৃতি হয় এরাও রাতে অনুতপ্ত হয় আপনার মনে হয় না, আমার মনে হয়।
একটা ভাব থাকে মন্দ না দৃশ্যগুলো।
সমালোচক মানুষ গুলো মনে হয় একটা জোকার।
ভালো লাগেনা আপনার আমার বেশি
ভালোই লাগে শুধু দুরত্বটা যদি রাখা যায়।
আপনার জন্য কষ্ট না হোক রসবোধ আসে!
কি জাল বুনে একলা রাখার
একলা থাকা যেই মানুষের আনন্দ তাকে দেই বিনোদন
তা কি হৃদয়ে হিংস্বা বুজতে দেয়।
সেই থাক
মানুষ গুলো কথার উৎসবে করুক দিনযাপন।
দলবেধে দলপতি সাজুক মাঝে মাঝে মানুষকে ভালোবাসুক।
কেউ কেউ আবার ভাবে
তোমার চোখকে বলে হৃদয়কে বলে তত্ত্বকে বলে প্রজ্ঞা
আবার কেউ কেউ বলে উল্টাপাল্টা এই ধরুন হাস্যকর।
ইস! কি কলোরব, ভালোই লাগে, যদি আড়াল হতাম
দেয়াল পেতাম!
মানুষের জন্য বাঁচা হৃদয়গুলো প্রতিঘাতের সঙ্গ বেশি পায়,
মন্দ নই এরাই একসময় বলে "মানুষটারে বড় প্রয়োজন"।
না হয় তখন তুমি ওপাড়ে মেঘের মতো রঙিন তোমার শূন্যতা ।
৩।
অরন্যের দেবী
আয়েশা সিমা
পাহাড়ি মেয়ে নাম ঝরনা
রূপকথা চুপকথা গল্পের ধর্না।
সিগ্ধ বাতাস ফুলের গন্ধে
ঝরঝর ঝরছ কোন ছন্দে
নির্জন বন সবুজ সম্মেলনে
কলকল কলতান খেয়ালী অভিমানে।
দুরদেশ হতে তোমার মোহ
শান্ত শীতল কর দেহ
কেউ বলে দেবতার গান
কেউ বলে পাহাড়ের ধ্যান
কবি লিখে পাহাড়ের কান্না
বননাঞ্চল বলে আমার তৃষ্ণা
আকাবাকা পথ শান্ত বাতাস
শাল সেগুন চন্দন বনবিলাস
রাত ছমছম ডাকে বিহঙ্গ
জোছনার জোনাক জল তরঙ্গ
তুমি অপরুপা অরন্যের দেবী
তুমি বন দেবতার প্রেম পুজারিনী
নিঝুম পাহাড়ের রপসী চঞ্চলা
চলো নিরবধী নিরব সহস্রধারা।